Posted By: Badhon
লেখালেখি অনেকেরই পছন্দের। তবে অনেকেই জানেন না শুধুমাত্র লিখেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন বেশ বড়ো অংকের টাকা। আমি নিজেও লেখালেখি করেই টাকা আয় করি। এখন প্রশ্ন হলো কী লিখবো, কিভবে লিখবো, কে টাকা দেবে, কেন দেবে।
লেখালেখি করে টাকা আয়ের অনেকগুলো মাধ্যম আছে যার ভেতর কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগ রাইটিং এর কাজ বেশি থাকে।
একটু সহজে বলি, আমি যেমন এই পোস্ট টা লিখছি “এসো আয় করি” সাইটে আর এর মাধ্যমে হয়ত আমার কিছু টাকা আয় হবে। কিন্তু এই সাইট আমাকে কেন টাকা দেবে এই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনাকে কী লিখতে হবে। আপনার লেখা ব্লগ টি যদি সত্যিই উপকারী হয় তাহলে এই সাইটে ভিজিটর বাড়বে। ভিজিটর বাড়লে এই সাইটের কর্তৃপক্ষ একটা প্রফিট পাবেন, যেহেতু ভিজিটর বাড়ার ক্ষেত্রে আপনার অবদান আছে তাই এই সাইট আপনাকে একটা সম্মানি দেবে। এই ধরণের লেখা কে বলা হয় ব্লগ রাইটিং। আবার কন্টেন্ট রাইটিংও একই রকম।
রিভিউ রাইটিং টা অনেক টা টাকা দিয়ে প্রশংসা কেনা আর কি। আমি একটা কোম্পানীর টানা তিন মাস রিভিউ রাইটিং এর কাজ করেছি। উন্নত বিশ্বে চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানের উপর রিভিউ সাইট থাকে, চাকরিপ্রার্থী রা সেই রিভিউ দেখে পছন্দসই প্রতিষ্ঠানে চাকরি খোঁজে। আমি যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছিলাম ওদের একটা বদনাম ছিল। তা হলো ওরা ওদের কর্মীদের বেতন আটকে রাখতো। যার ফলে কন্টিনিউয়াসলি ওদের নামে ব্যাড রিভিউ এড হতে থাকে বিভিন্ন রিভিউ সাইটে। আমাকে তিন মাসের কন্ট্যাকচুয়াল নিয়োগ দেয়া হয় তাদের নামে প্রতিদিন দুইটি করে পজিটিভ রিভিউ লেখার জন্য। তবে সাবধান রিভিউ গুলো এমন ভাবে লিখতে হবে যেন পাঠক রা কোন ভাবেই না বোঝে একই ব্যাক্তি একের পর এক রিভিউ লিখে যাচ্ছে। এভাবেই আপনি বিভিন্ন রকম রিভিউ লেখার কাজ আপনি পেতে পারেন। ফুডের উপর বা কোন প্রোডাক্টের উপর আপনি রিভিউ রাইটিং এর কাজ পেতে পারেন।অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লেখা। যেমন আমি গতমাসে Huston Dental Care এর নামের একটা আমেরিকান ডেন্টাল হসপিটালের ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ কন্টেন্ট লেখার কাজ পেয়েছিলাম। কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে ছিল ওদের সেবার ধরণ, ডক্টর লিস্ট, ওদের কন্টাক্ট ইনফো এবং ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চেন্স (FAQ) আর তার যথাযথ উত্তর গুলো লেখা।
যারা লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তারা নিয়মিত আমার ব্লগ গুলো ফলো করতে পারেন। লেখার নানা টিপস আর আয়ের পদ্ধতি ও ভালো সাইট গুলোর সম্পর্কে আস্তে আস্তে জানাতে থাকবো।
শেষমেষ একটা অংক দিয়ে যাই কষতে থাকুন। প্রতি এক হাজার শব্দ লিখতে আমার সময় লাগে আনুমানিক ঘন্টাখানেক। তাহলে প্রতি ঘন্টায় বাঁ প্রতি হাজারে যদি ৪ ডলার বা ৩২০ টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে দিনে ছয় ঘন্টা কাজ করলে মাসে কতো টাকা আসে? যে অংক টা পাবেন সেটা রাইটিং এ একদমই অনভিজ্ঞদের প্রতি মাসে পসিবল ইনকাম। আর যদি আপনি অভিজ্ঞ হন তাহলে অংক টা ১০ ডলার থেকে ২০/ ৩০ বা ক্ষেত্র ভেদে ৫০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে। অবাক হওয়ার কিচ্ছুই নেই। অংক কষতে থাকুন। পরের ব্লগ গুলো তে দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে।
গত পোস্টে একটা অংক কষতে বলেছিলাম। সেটা ছিল শুধু আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট বাঁ ওয়েব কন্টেন্ট লিখে আপনি মাসে কতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি টাকার অংক টা পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আজকের পোস্ট টা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি কিছু টা হলেও উপকৃত হবেন।
ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র গুলো ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজে বা ইংরেজী ভাষায় না হয়েও বিশ্ব দরবারে একট বিশেষ যায়গা দখল করে ফেলেছে কিভাবে? একটা বিশেষ স্ট্র্যাটেজি ফলো করে। সেটা হলো প্রি প্রোডাকশন রিসার্চ। অর্থাৎ তারা মুভি বানানোর কাজে নামার আগে প্রচুর রিসার্চ করে।
এর ফলে তিনটা লাভ হয়।
২-সব কিছু পরিকল্পিত থাকায় সময় লাগে অল্প এবং প্রোডাকশন খরচও বেঁচে যায় অন্তত তিন ভাগের একভাগ।১- সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রোডাকশন আউটলাইন করা যায়,
৩- দুর্দান্ত একটা ব্যাবসা সফল মুভি তৈরি হয়। এই প্রি প্রোডাকশন বা প্রোডাকশন টিমের প্রস্তুতি টা সব ধরণের ক্রিয়েটিভ কাজে জরুরী।
এই বাজে বকার কারণ হলো প্রি প্রোডাকশন সম্পর্কে জানানো। আপনি একজন ফ্রি ল্যান্সার রাইটার হিসেবে নিজের ঘরে বসে দিনে ছয় – সাত ঘন্টা পরিশ্রম করে মাসে ৫০০০০ টাকার উপর আয় করবেন বিষয় টা শুনতে সহজ লাগলেও বিষয় টা ঠিক এতো সহজ না। প্রথমে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তারপর যুদ্ধে নামতে হবে। তবেই না সম্ভব স্বপ্নের শিখর কে ছুঁয়ে ফেলা। কিভাবে নিজেকে গড়ে তুলবেন? আসুন জেনে নেই।
প্রথম ধাপ- পড়ুন
পড়ার অভ্যাস গড়ুন। ভাষার সাবলীলতা টা কি সেটা বুঝুন। আপনি একজন বিদেশী ভাষার লেখক হবেন তো অবশ্যই সে ভাষায় আপনার যথেষ্ট দখল থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রচুর পড়ুন। না সাহিত্য পড়তে হবে না আপনি তাদের জার্নাল পড়ুন, তাদের পপুলার সাইটগুলোর আর্টিকেল গুলো পড়ুন, তাদের ম্যাগাজিন গুলো পড়ুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন ওদের কোন শ্রেনীর এবং কোন রুচির পাঠক কী ধরণের শব্দ চয়ন কে আপন করে নেয়।
দ্বিতীয় ধাপ-লেখুন
লেখার অভ্যাস করুন, মানে কী-বোর্ড নিয়ে টাইপের কথা বলছি তা নয়। অনেকের টাইপিং গতি ভালোই থাকে কিন্তু সাবলীলতা থাকে না। হ্যাঁ সাবলিলতা। এটা খুবই জরুরী। আপনার অডিয়েন্স যদি আপনার কথা গুলো কে পড়ে কিছু না বোঝে বাঁ অল্প বোঝে বা বুঝতে তাদের পরিশ্রম করতে হয় তাহলে তারা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাই প্রচুর লিখুন। নিজে নিজেই বিষয় নির্ধারণ করুন। সে বিষয়ের উপর লেখুন। যা ভালো লাগে লিখতে থাকুন। কথায় আছে না গাইতে গাইতে গায়েন? তেমনই লিখতে লিখতেই লেখক।
আজ এ পর্যন্তই। পরের পোস্টে আরও কিছু ধাপ থাকবে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। ইদানীং আমরা সবাই খুবই অধৈর্যশীল। আপনি যদি ওয়ান অফ দ্য বেস্ট হতে চান তাহলে আর সবার মতো হলে চলবে না, ধৈর্যশীল হয়ে প্রি প্রোডাকশন কাজ শুরু করুন। তাহলে একদিন বক্স অফিস ফাটিয়ে দেয়ার মতো হিট হবেনই ইনশাআল্লাহ। তাহলে আজই পড়ে ফেলুন কয়েকটি জার্নাল আর ম্যাগাজিনের খবরা খবর। পারলে আজই লিখে ফেলুন একটি টপিকের উপর ছোট্ট একটা আর্টিকেল। আচ্ছা টপিক টা আমিই দেই- “How to buy a bicycle?” তাহলে আজ আসি। ধন্যবাদ।
Source: www.eshoaykori.com
0 Comments